আসসালামু আলাইকুম । নতুন ব্লগে আপনাকে স্বাগতম । আমরা কম বেশি সকলেই ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি মার্টিনেজ ঢাকায় এসেছিল । মার্টিনেজ ঢাকায় আসার পরেও কেন দেখা করতে পারল না জামাল ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ফুটবল দল । এ বিষয়ে আজকে আলোচনা করব ।
জামাল ভূঁইয়াঃ
জামাল ভূঁইয়া সে এক অদম্য ফুটবল প্লেয়ারের নাম ।
ডেনমার্কের জন্মগ্রহণ করলেও জামাল ভূঁইয়া ফুটবল খেলে আসছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ।
বর্তমান বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক হল জামাল ভূঁইয়া । জামাল ভাই একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় ।
ফুটবল জীবনের শুরু হয় ডেনীয় ফুটবল ক্লাব প্র্যানপির যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে ।
২০১৪ থেকে ২০১৬ মৌসুমী তিনি বাংলাদেশ ফুটবল এর একটি ক্লাব শেখ জামাল ক্লাবে যোগদান করেন ।
এর মধ্য দিয়ে ই জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ ফুটবল লীগে পদার্পণ করে ।
তিনি শেখ জামাল লাভের হয়ে অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছেন ।
তার মধ্যে তিনি একটি লীগ শিরোপা সহ মোট তিনটি শিরোপা জয় লাভ করেছেন ।
এভাবে তিনি ভালো পারফরমেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্লাবের যোগদান করতে থাকেন
২০১৭ এবং ২০১৮ মৌসুমি তিনি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এ যোগদান করে ।
পরবর্তীতে তিনি শেখ রাসেল ক্লাবে যোগদান করেন ।
এভাবে তিনি ধীরে ধীরে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের যোগদান করেন । এবং এখন পর্যন্ত ভালো পারফরম্যান্স করে আসছেন ।
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।
Read More :ফুটবল খেলা নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস এবং ক্যাপশন
মার্টিনেজঃ
মার্টিনেজ , বিশ্ব বিখ্যাত এই ফুটবল খেলোয়াড়ের কথা কম বেশি আমরা সবাই জানি ।
এমিলিয়ানো মার্টিনেজ আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের একজন গোলরক্ষক ।
ফুটবল দুনিয়ার সাথে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা এই দুইটি দেশ যেন চিরচেনা ।
এমিলিয়ান ও মার্টিনের দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আর্জেন্টিনা ফুটবল একাদশের গোলরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন ।
মার্টিনেজ গোল রক্ষা করার দক্ষতার কারণে বাজপাখি উপাধি পেয়েছেন ।
বাজপাখি যেভাবে কোন কিছুকে ধরে ফেলতে পারে ঠিক তেমনভাবে মাটিনেজ ফুটবলকে
অনেক সহজেই তার নিজের হাতে নিতে পারে এবং গোলরক্ষা করতে পারে ।
মার্টিনেজ ২০২২ এর কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের হয়ে যোগদান করেছিলেন এবং প্রতিটি খেলায় অনেক ভালো পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন ।
অত্যন্ত দক্ষতার সাথে গোলরক্ষকের দায়িত্ব পালন করে তিনি আর্জেন্টিনা ফুটবল একাদশকে নিয়ে যায় ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে ।
সম্পূর্ণ টুর্নামেন্টে অনেক ভালো পারফরমেন্সের জন্য ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ এর পক্ষ থেকে মার্টিনেজ গোল্ডেন গ্লাভস পুরস্কার পায় ।
জামাল ভূঁইয়া কেন সাক্ষাৎ করতে পারল না মার্টিনেজের সাথেঃ
সম্প্রতি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল সাব চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার জন্য ভারতে যান ।
এবং ভারতে অনুষ্ঠিত হয় সাব চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্ট ।
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল অনেক ভালো পারফরমেন্স করার মাধ্যমে জাতীয় ফুটবল দল সেমিফাইনালে অংশগ্রহণ করতে পারে ।
সেমিফাইনালে অনেক ভালো পারফরম্যান্স করার পরেও বাংলাদেশ জাতীয় দল ফাইনালে পৌঁছাতে পারেনি ।
তাই হতাশা নিয়েই বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ফিরছিলেন বাংলাদেশে ।
এদিকে বিশ্বজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ান ও মার্টিনেজ এর আগমন ঘটে বাংলাদেশ ১১ ঘণ্টার জন্য ।
কিন্তু মার্টিনেজকে আনার এই আয়োজনটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন করেনি । করা হয়েছিল একটি কোম্পানি থেকে ।
আয়োজক কমিটি জানায় বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ভারতে অবস্থান করার কারণে
তারা ফুটবল দলের কাউকে বা বা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাউকে আমন্ত্রণ জানায় না ।
দীর্ঘ 11 ঘন্টা মাল্টিনেস ঢাকায় অবস্থান করার পর যখন কলকাতার উদ্দেশ্যে ফিরছিলেন ঠিক তখনই
ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে যান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ।
কিভাবে উপেক্ষিত হয় জামাল ভূঁইয়াঃ
দলের সবাই নিজেদের মতো নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বাসের খোঁজে থাকলেও
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া অপেক্ষা করেন মাল্টিমিদের জন্য ।
জামাল হইয়া যখন মার্টিন আজকে দেখার জন্য তার কাছে যায় তখন মার্টিনেজ ছিল গাড়ির ভিতর ।
তাকে বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করা হয় এবং জানানোর চেষ্টা করা হয় যে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক
তার সাথে দেখা করার জন্য এসেছেন । কিন্তু মার্টিনেজ জামাল ভূঁইয়াকে উপেক্ষা করে চলে যায় বিমানবন্দরের ভিতরে ।
আয়োজক কমিটি যদি চেষ্টা করত তাহলে হয়তো অবশ্যই মার্টিনেজের সাথে
একটু সময়ের জন্য হলেও জামাল বিয়ার দেখা করিয়ে দিতে পারতো ।
একটু সময়ের জন্য মতবিনিময় এবং সাক্ষাৎ করতে পারতো এবং জামাল ভূঁইয়া এবং মার্টিনেজ এক ফ্রেমে বন্দী হতে পারতো ।
হয়তো এমনটা আশা নিয়ে জামাল ভূঁইয়া ছুটে গিয়েছিলেন মার্টিনেজ এর কাছাকাছি ।
কিন্তু দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার পরেও এবং জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন হয়েও সেখানে সে মূল্য পায়নি ।
এবং মার্টিনেজের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ বা প্রেমে বন্দী হতে পারেনি ।
বিষয়টি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল এবং বাংলাদেশের ফুটবল সমর্থকদের জন্য অনেক কষ্টকর ।
আয়োজক কমিটি চেষ্টা করলেই পারতো বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া সাথে মার্টিনেজের সাক্ষাৎ করিয়ে দিতে ।
জামাল হইয়া অনেক আশা নিয়ে গিয়েছিল মার্টিনেজের সাথে একটু সৌজন্য সাক্ষাৎ করার জন্য ।
একজন প্লেয়ার হিসেবে তার কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেই হয়তো ছুটে গিয়েছিলেনমার্টিনেজের কাছে ।
জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হয়েও তার দেখা মেলেনি মার্টিনেজের সাথে ।
আমরা ধারণা করতে পারি মার্টিনেজ তার নিজের অহংকারের জন্য জামালপুরের সাথে সাক্ষাৎ করেনি ।
কিন্তু এমনও হতে পারে সময় স্বল্পতার কারণে মার্টিনেজ জামাল ভাইয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেনি ।
আমি একজন ফুটবল সমর্থক হিসেবে বিষয়টি আমার অনেক খারাপ লেগেছে ।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক উপেক্ষিত হয়েছে এতে স্পষ্ট বোঝা যায় বাংলাদেশ ফুটবল কতটা উপেক্ষিত ।